মৌর্য সাম্রাজ্য পরবর্তী যুগে ভারতীয় উপমহাদেশে গড়ে ওঠে গুপ্ত সাম্রাজ্য । গুপ্ত যুগকে প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশের স্বর্ণযুগ বলা হয় । এ যুগে সাহিত্য , বিজ্ঞান ও শিল্পের খুবই উন্নতি হয় ।
আনুমানিক খ্রিষ্টীয় ৩২০ থেকে ৫৫০ অব্দের মধ্যবর্তী সময়ে ভারতীয় উপমহাদেশের অধিকাংশ অঞ্চল জুড়ে এই সাম্রাজ্য প্রসারিত ছিল। মহারাজ শ্রীগুপ্ত ধ্রুপদি সভ্যতা-র আদর্শে এই সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। গুপ্ত শাসকদের সময়/শাসনামলে ভারতে যে শান্তি ও সমৃদ্ধি স্থাপিত হয়েছিল, তার ফলশ্রুতিতে দেশ বৈজ্ঞানিক ও শিল্পক্ষেত্রে বিশেষ উৎকর্ষ লাভ করতে সক্ষম হয়। গুপ্তযুগকে বলা হয় ভারতের স্বর্ণযুগ। এই যুগ ছিল আবিষ্কার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বাস্তুবিদ্যা, শিল্প, ন্যায়শাস্ত্র, সাহিত্য, গণিত, জ্যোতির্বিদ্যা, ধর্ম ও দর্শনের বিশেষ উৎকর্ষের যুগ; বর্তমান হিন্দু সংস্কৃতি মূলত এই যুগেরই ফসল। গুপ্ত যুুগের আমলে অনেক পণ্ডিত ব্যক্তি যেমন কালিদাস, আর্যভট্ট, বরাহমিহির, বিষ্ণু শর্মা -এর অবির্ভাব হয়েছিলো। প্রথম চন্দ্রগুপ্ত, সমুদ্রগুপ্ত ও সমুদ্রগুপ্ত ছিলেন গুপ্ত সাম্রাজ্যের সর্বাপেক্ষা প্রসিদ্ধ সম্রাট তার সাম্রাজ্য সীমা দক্ষিণ ভারতেও প্রসার লাভ করে ।
বিশেষ তথ্যঃ
#গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা- প্রথম চন্দ্রগুপ্ত ।
#গুপ্ত বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা- সমুদ্রগুপ্ত ।
#চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের রাজধানী ছিল- পাটলিপুত্রে ।
# সমুদ্রগুপ্ত রাজত্ব করেন- ৪০ বছর ।
#প্রাচীন ভারতের নেপােলিয়ন বলা হয়- সমুদ্রগুপ্তকে ।
# ফা হিয়েন পর্যটক ছিলেন চীনের ।
#চীনা পর্যটক ফা হিয়েন ভারতে আসেন ।
#দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের সময়ে । ফা হিয়েন এর ভ্রমণ সংক্রান্ত গ্রন্থের নাম- ‘ ফো - কুয়াে - কিং ’ |
#সমুদ্রগুপ্ত কথিরাজ উপাধি লাভ করেন- কাব্য রচনা করে ।
# সমুদ্রগুপ্তের রাজধানী ছিল- পাটলিপুত্রে ।
# কালিদাস কবি ছিলেন- গুপ্ত যুগের ।
#কালিদাসের মহাকাব্যের নাম- মেঘদূত ।
#দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের উপাধি ছিল- বিক্রমাদিত্য ।
#চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং বাংলায় আগমন করেন- সপ্তম শতকে ।
#“ বিক্রমাদিত্য ' উপাধি ছিল- দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের ।
# সিংহবীর ' উপাধি ছিল- দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের ।
0 Comments