গৌড় বংশ সম্পর্কিত কিছু তথ্য।

 


গৌড় বংশ ষষ্ঠ শতকের প্রথমার্ধে ভারতে বিশাল গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতন ঘটে মধ্য এশিয়ার দুর্ধর্ষ যাযাবর জাতি হুনদের আক্রমণে । গুপ্ত সাম্রাজ্য পতনের পর বাংলায় দুটি স্বাধীন রাজ্যের উদ্ভব হয় । এর একটি ছিল প্রাচীন বঙ্গ রাজ্য অপরটি ছিল স্বাধীন গৌড় রাজ্য। গৌড়ের অবস্থান ছিল বাংলার পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চল জুড়ে ।

গৌড় বাংলার এককালীন রাজধানী এবং অধুনা ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি নগর যার অবস্থান বর্তমান ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে। এটি লক্ষণাবতী নামেও পরিচিত। প্রাচীন এই দুর্গনগরীর অধিকাংশ পড়েছে বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদা জেলায় এবং কিছু অংশ পড়েছে বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। শহরটির অবস্থান ছিল গঙ্গানদীর পূর্ব পাড়ে, রাজমহল থেকে ৪০ কি:মি: ভাটিতে এবং মালদার ১২ কি:মি: দক্ষিণে। তবে গঙ্গানদীর বর্তমান প্রবাহ গৌড়ের ধ্বংসাবশেষ থেকে অনেক দূরে।

বিশেষ তথ্যঃ

#গৌড় বংশের শক্তিশালী রাজা ছিলেন- শশাঙ্ক ।
# শশাঙ্কের উপাধি ছিল- মহাসামন্ত ।
#স্বাধীন গৌড় রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন- শশাঙ্ক ।
# গৌড় রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়- ৬০৬ সালে ।
# ‘ রাজাধিরাজ ’ উপাধি ধারণ করেন- শশাঙ্ক ।
#রাজা হর্ষবর্ধন সিংহাসনে আরােহণ করেন- ৬০৬ খ্রিষ্টাব্দে ।
#স্বাধীন গৌড় রাজ্যের রাজধানী ছিল- কর্ণসুবর্ণে । কর্ণসুবর্ণ এর বর্তমান অবস্থান- মুর্শিদাবাদ জেলায় ।
# হর্ষবর্ধনের সময় আগত চীনা পরিব্রাজকের নাম- হিউয়েন সাং ।
#নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা- রাজা হর্ষবর্ধন ( বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টি আবার চালু করা হয়েছে ) ।
# হর্ষবর্ধনের রাজধানী ছিল- কনৌজে ।
# হর্ষবর্ধনের সভা কবি ছিলেন- বাণভট্ট ।
#বানভট্টের বিখ্যাত গ্রন্থ- হর্ষচরিত ।

Post a Comment

0 Comments