প্রাচীন বাংলা ( বাংলার উৎপত্তি এবং বাঙালির আবির্ভাব)

 প্রাচীন বাংলা ( বাংলার উৎপত্তি এবং বাঙালির আবির্ভাব) 

জানেন কি বাংলা এবং বাঙালির আবির্ভাব কিভাবে হয়েছিল? যদি না জেনে থাকেন তাহলে আসুন জেনে আসা যাক। 


বাংলার উৎপত্তি

 বাংলা বলতে শুধু বাংলাদেশকে বুঝায় না পশ্চিমবঙ্গ  আসাম ত্রিপুরাও এর অংশ। গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র নদ এক অর্থে বাংলাকে ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভারতের ইতিহাসে বাংলা এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। প্রাচীন রোমান ও গ্রিকদের কাছে এই অঞ্চল গঙ্গারিডাই নামে পরিচিত ছিল। চার সহস্রাব্দ পূর্বে বাংলায় সভ্যতার ক্রমবিকাশ শুরু হয়।প্রাচীন গ্রিক ও রোমান ভাষায় এই অঞ্চলকে গঙ্গারিডই নামে উল্লেখ করা হয়েছে। পরবর্তীতে গঙ্গারিডই বাংলায় রূপ নেয়। তাছাড়া বঙ্গ নামের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় হিন্দুদের "ঐতরেয় আরণ্যক" গ্রন্থে। সর্বপ্রথম দেশবাচক “ বাংলা ” শব্দের ব্যবহার হয়- আবুল ফজলের আইন -ই - আকবরী গ্রন্থে ।  


বাঙালি জাতির আবির্ভাব।  

 অনেক জাতির মিশ্রনে বাঙালি জাতির আবির্ভাব গঠলেও সমগ্র জাতিকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। ১.অনার্য জাতি  এবং ২. আর্য জাতি।  পাচ্  আগে ইন্দোচীন থেকে আসাম হয়ে বাংলায় এসেছিলো অস্ট্রিক জাতি মনেকরাহয় অস্ট্রিক জাতি থেকে  বাঙালি প্রধান অংশ অংশ গড়ে উঠেছে। তাই বাংলার জনপদ ভাষা  ছিল অস্ট্রিক ভাষা। অস্ট্রিক জাতির পরে দ্রাবিড় জাতি এদেশে আসে।  আর সভ্যতার উন্নয়নের বলে তারা অস্ট্রিক জাতিকে গ্রাস করে। অস্ট্রিক দ্রাবিড় জনগোষ্ঠীর  মিশনে যে জাতি প্রবাহ চলছিলো তার সাথে  আর্যজাতি এসে যুক্ত হয়ে গড়ে উঠে বাঙালি জাতি। অনার্যদের আদি নিবাস ছিল ইউরাল পর্বতের দক্ষিণে (বর্তমান ইরান).অষ্টম শতাব্দীর দিকে আরবীয়রা ইসলাম প্রকার এবং বেবসা বাণিজ্যের কাজে এসেছিলো বাংলায়। ধীরে ধীরে তারাও বাঙালিদের সাথে মিশে যায়। তাদের দেখাদেখি হাবসীরাও এদেশে আসে এই পৰিক্রমায় প্রায় দেড় হাজার বছর ধরে গ্রহণ বর্জন এবং রূপান্তরে বাঙালি জাতি গড়ে উঠে। 





Post a Comment

0 Comments